নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বিনা উদ্ভাবিত ফসলের জাত পরিচিতি, চাষাবাদ, বীজ উৎপাদন এবং সংরক্ষণ বিষয়ক কৃষক প্রশিক্ষণ ৭ এপ্রিল বরিশালের রহমতপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) উদ্যোগে এর নিজস্ব হলরুমে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।
এ উপলক্ষ্যে এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছেিলন বিনার মহাপরিচালক ড. মো. আবুল কালাম আজাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোসাম্মৎ মরিয়ম, সিমিট বাংলাদেশের বরিশাল অঞ্চলের হাব ম্যানেজার হীরা লাল নাথ এবং বাবুগঞ্জের উপজেলা কৃষি অফিসার মোহা. আব্দুর রউফ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিনার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. ছয়েমা খাতুন। দিনব্যাপি এই প্রশিক্ষণে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিনা উপকেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মাহমুদ আল নূর, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার, কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক, সিমিট বাংলাদেশের গবেষণা উন্নয়ন সমন্বয়ক মো. শহীদুল ইসলাম, বাবুগঞ্জের কৃষক কবির হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে অর্ধ শতাধিক কৃষক অংশগ্রহণ করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে
প্রধান অতিথি বলেন, প্রাকৃতিক কারণেই দক্ষিণাঞ্চলে আমন ধান কাটতে দেরি হয়ে যায়। এরপর পরবর্তী ফসল চাষে কিছুটা সমস্যা দেখা দেয়। তাই এখানে ফসলের এমন জাত নির্বাচন করতে হবে যাতে খরিফ-২ এবং রবি মৌসুমে অন্তত দুটো শস্য আবাদ করা যায়। এক্ষেত্রে আমন ধান এবং সরিষার স্বল্প জীবনকালিন জাত বেছে নিতে হবে। সে হিসেবে বিনাসরিষা-৯ বেশ উপযোগী। এই জাতটি ৫-৭ দিন বৃষ্টির পানিতে টিকে থাকতে পারে। দেরিতেও লাগানো যায়। কাদা মাটিতেও ছিটিয়ে বোনা সম্ভব।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS