নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বরিশালে বিনা উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল আমন ধানের জাত পরিচিতি, চাষাবাদ পদ্ধতি, বীজ উৎপাদন এবং সংরক্ষণ কৌশল বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২১ জুন বাবুগঞ্জ উপজেলায় বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন বিনার মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. ছয়েমা খাতুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মোসাম্মৎ মরিয়ম। অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিনার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. সোহেল রানা, কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক, স্থানীয় উপসহকারি কৃষি অফিসার মো. নুরুল ইসলাম, কৃষক ইউনুছ মোল্লা প্রমুখ।
প্রধান অতিথি ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম বলেন, বিনা উদ্ভাবিত আমন ধানের জাতগুলো স্বল্পকালিন। এর মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলে শস্যনিবিড়তা বাড়াতে সহায়ক হবে। আর এব্জন্য কেবল মাঝারি ও মাঝারি উঁচু জমি নির্বাচন করা দরকার। তবেই আমনের ফসল তোলার পর ওই জমিতে সরিষা চাষ করা সম্ভব। পরে করা যাবে মুগডাল।
বিনার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. ছয়েমা খাতুন জানান, বরিশাল অঞ্চলের জন্য বিনা ধান-১১, বিনা ধান-১৭, বিনা ধান-২০ এবং বিনা ধান-২৩ বেশ উপযোগী। এর মধ্যে বিনা ধান-১১ জলমগ্নসহিষ্ণু। বিনা ধান-২০ জিংক ও আয়রণসমৃদ্ধ। আর ফলনের দিক থেকে বিনা ধান-১৭ সবচেয়ে ভালো। এর হেক্টরপ্রতি গড় ফলন প্রায় ৭ টন।
অনুষ্ঠান শেষে কৃষককের মাঝে বিনা ধান-১৭’র বীজ বিতরণ করা হয়। কর্মশালায় ৭৫ জন কৃষক অংশগ্রহণ করেন।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS