নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বরিশালে তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের চলমান কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনার ওপর আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (০৮ এপ্রিল) নগরীর মৎস্য বীজবর্ধন খামারের হলরুমে ডিএইর উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিএই বরিশালের অতিরিক্ত পরিচালক মো. শওকত ওসমান এবং ফরিদপুরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. হারুন-অর-রশীদ। কীনোট উপস্থাপন করেন তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. জসীম উদ্দিন।
বরিশাল সদরের উপজেলা কৃষি অফিসার মার্জিন আরা মুক্তার সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডিএই পটুয়াখালীর উপপরিচালক মো. নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শিরিন আক্তার জাহান, ডিএই পটুয়াখালীর জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মো. খায়রুল ইসলাম মল্লিক, প্রকল্পের সিনিয়র মনিটরিং অফিসার রথীন্দ্রনাথ বিশ^াস, ভোলা সদরের উপজেলা কৃষি অফিসার এএফএম শাহাবুদ্দিন, শরীয়তপুরের জাজিরার উপজেলা কৃষি অফিসার মো. জামাল হোসেন, ঝালকাঠি সদরের উপজেলা কৃষি অফিসার আলী আহমেদ, আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মাহমুদুল হাসান খান প্রমুখ।
প্রধান অতিথি বলেন, পামওয়েল আর সয়াবিনতেল আমাদের পুরো বাজার দখল করে আছে। এখানে সরিষাকে প্রতিষ্ঠিত করাতে হবে। এছাড়া ভোজ্যতেলের আমদানিনির্ভরতা কমানোর আর কোনো বিকল্প নেই। দিন দিন সরিষার আবাদ বাড়ছে। এসব বুঝতে পেরে অদৃশ্য প্রতিদ্বন্দ্বি পামওয়েলের আমদানিকারকরা বসে নেই। তারা সরিষার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ সরিষা হলো নিরাপদ তেল। তাই সরিষা আবাদে কৃষকদের উৎসাহিত করার জন্য আমাদের প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যেতে হবে। তাহলেই তেলফসলের উৎপাদন আশানুরূপ বাড়বে। পাশাপাশি আমাদের বৈদেশিক মুদ্রাও সাশ্রয় হবে। দিনব্যাপী এ কর্মশালায় কৃষিসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ১৭৫ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS