নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বরিশালে বায়োফর্টিফাইড জিংকধান ও চাল সংগ্রহের বিষয়ে জেলা পর্যায়ের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ২৮ মে নগরীর বিডিএসের হলরুমে জেলা খাদ্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে এই সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. জাহাঙ্গীর আলম। সভাপতিত্ব করেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. নকীব সাদ সাইফুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পরিচালক ড. মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম শিকদার। প্রবন্ধ উপস্থাপক ছিলেন বেসরকারি সংস্থা গেইন গেইন (বাংলাদেশ)-এর পরামর্শক ড. এম মনির উদ্দিন।
বরিশাল সদরের উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিএম শফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএডিসির যুগ্মপরিচালক ড. মো. মাহবুবুর রহমান, ডিএইর জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মোসাম্মৎ মরিয়ম, আঞ্চলিক কৃষি তথ্য অফিসার মো. শাহাদাত হোসেন প্রমুখ।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বলেন, অপুষ্টির কারণে বাংলাদেশে প্রতি বছর অর্থনৈতিক উৎপাদনশীলতা হারায় ৭০০০ কোটি টাকারও অধিক। জিংক একটি অপরিহার্য খনিজ অনুপুষ্টি। এর অভাবে নারী ও শিশুদের সমস্যা বেশি হয়। সরকার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই প্রধান খাদ্য ভাতে অর্থাৎ ধানে জিংকের সন্নিবেশ ঘটায়। গবেষণা প্রতিষ্ঠানের উদ্ভাবিত জিংকধানের জাতগুলো ইতেমধ্যে কৃষকপর্যায়ে বেশ সমাদৃত হয়েছে। এর ফলনও ভালো। ভোক্তাপর্যায়ে এটি নিশ্চিত করতেই সরকারের ধান ও চাল সংগ্রহের এই উদ্যোগ। এক্ষেত্রে মোট সংগ্রহের শতকরা ৫ ভাগ জিংকধান/চাল সংগ্রহের তাগিদ রয়েছে। সভায় কৃষক প্রতিনিধিসহ খাদ্য সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৫০ জন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS