নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বরিশালে ইঁদুর নিধন অভিযান উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) নগরীর খামারবাড়িতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আযোজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ডিএইর অতিরিক্ত পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বরিশালের উপপরিচালক মো. মুরাদুল হাসান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ভোলার উপপরিচালক মো. হাসান ওয়ারিসুল কবীর, বরিশালের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) মো. রেজাউল হাসান, গলাচিপার উপজেলা কৃষি অফিসার আরজু আক্তার, বরিশাল সদরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. হানিফ হাওলাদার, চরফ্যাশনের কৃষক অরবিন্দ দেব নাথ বংশী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং কৃষক মিলে অর্ধশতাধিক অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, ইঁদুর বিশ্বের মোট খাদ্যশস্যের শতকরা এক ভাগ ক্ষতি করে থাকে। এছাড়া এরা জন্ডিস, আমাশয়, টাইফয়েড এবং প্লেগসহ নানা রোগ ছড়ায়। এমন কিছু নেই ইঁদুর যা ক্ষতি করে না। তাই এদের দমন অত্যাবশ্যক। যদিও যান্ত্রিক এবং রাসায়নিক উপায়ে দমন করা যায়। তবে শিয়াল, পেঁচা, সাপ, গুইসাপ, চিল, ঈগল, বিড়াল এ জাতীয় প্রাণী সংরক্ষণের মাধ্যমে দমন করা উত্তম।
অনুষ্ঠান শেষে ইঁদুর নিধনের জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মধ্যে ঝালকাঠি সদরের এম এ হান্নান প্রথম হয়েছেন। তার ইঁদুর মারার সংখ্যা ৩ হাজার ৫ শ’ ১০ টি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলাধীন ডাকুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শ্ক্ষিক এবং ছাত্র-ছাত্রীরা। তাদের মৃত ইঁদুরের সংখ্যা ৮ হাজার ৬ শ’ ২০ টি। আর কৃষকদের মধ্যে সর্বোচ্চ ইঁদুর নিধনকারী কৃষক হলেন ভোলার চরফ্যাশানের অরবিন্দ দেব নাথ বংশী। তার মৃত ইঁদুরের সংখ্যা ৮ হাজার ৪ শ’ ২৩ টি।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS