নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বরিশালের বাবুগঞ্জে বঙ্গবন্ধু ধান১০০’র মাঠদিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। ০৫ মে উপজেলার রাকুদিয়া গ্রামে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আায়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) অতিরিক্ত পরিচালক মো. শওকত ওসমান এবং আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. বিমল চন্দ্র কুন্ডু। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিএই বরিশাল জেলার উপপরিচালক মো. মুরাদুল হাসান। ব্রির উধর্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তুষার চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাবুগঞ্জের উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মামুনুর রহমান, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. ছয়েমা খাতুন, প্রদর্শনীচাষি মো. জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, কৃষকরাই কৃষির হাতিয়ার। তাই দেশের খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে আপনাদের ভূমিকা সবার আগে। বঙ্গবন্ধু ধান সম্পর্কে তিনি বলেন, মানুষের মেধা ও বুদ্ধি বিকাশের জন্য জিংক প্রয়োজনীয় উপাদান। যদিও এই পুষ্টি উপাদানটি পরিমাণে কম লাগলে, তবে শরীরের জন্য অত্যাবশ্যক। তাই সকল বয়সের মানুষের জন্য জিংকসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরি। যেহেতেু বঙ্গবন্ধু ধানে যথেষ্ট পরিমাণে জিংক রয়েছে। এর ফলনও ভালো। তাই এর আবাদ বাড়ানো চাই। কেননা জিংকসহ অন্যান্য পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণের মাধ্যমে মানুষকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ায় সহায়তা করবে।
মাঠদিবসে কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার শাহ মো. আরিফুল ইসলাম, ব্রির বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবু ছায়েম, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ঐশিক দেবনাথ , কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিকসহ শতাধিক কৃষক অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য,বঙ্গবন্ধু ধান ১০০’র গড় ফলন হেক্টরপ্রতি ৭.৩২ টন। চলতি বছরে উপজেলায় মোট ৩০ বিঘা জমিতে প্রদর্শনী দেওয়া হয়। প্রতি কৃষককে বিঘাপ্রতি ৫ কেজি বীজ এবং পরিমাণমতো সুষম সার ফসল বপনের আগে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS