নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বরিশালের বাবুগঞ্জে বিনাসরিষা-১১’র সাথে বারি সরিষা-১৪ এর প্রায়োগিক পরীক্ষণ মূল্যায়ন ও চাষ সম্প্রসারণ বিষয়ক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৫ ফেব্রুয়ারি উপজেলার ভবানীপুরে এই মাঠ দিবসের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বিনার মহাপরিচালক ড. মো. আবুল কালাম আজাদ ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
এসময় তিনি বলেন, বিনাসরিষা-১১ স্বল্পকালিন জাত হওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলে এর চাষ যথেষ্ট উপযোগী। এজন্য কম জীবনকালের আমন ধান আবাদের পর এই জাত অনায়াসেই চাষ করা যায়। এর বীজের রঙ হলুদ, যার ভেতরে তেলের পরিমাণ থাকে শতকরা ৪৪ ভাগ । গাছের সর্বোচ্চ জীবনকাল ৮৩ দিন। হেক্টরপ্রতি ফলন ১.৮-২.১ টন। তাই বরিশাল অঞ্চলে এই জাতের সরিষার চাষ বাড়ানো দরকার। এতে কৃষকরা বেশ লাভবান হবেন।
বিনা আয়োজিত এই মাঠ দিবসে বিশেষ অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বিনার গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মাহবুবুল আলম তরফদার এবং উপপ্রকল্প পরিচালক ড. মোহাম্মদ আশিকুর রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিনার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. ছয়েমা খাতুন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিনা উপকেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মাহমুদ আল নূর, কৃষক মো. আমিনুল ইসলাম, মো. গোলাম কবীর প্রমুখ। মাঠ দিবসে অর্ধ শতাধিক কৃষক অংশগ্রহণ করেন।
বরিশালে সূর্যমুখী এবং বেগুনের চাষাবাদ বিষয়ক কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): দেশের দক্ষিণাঞ্চলে জন্য বারি সূর্যমুখী-৩ এবং বারি বেগুন-১২’র আবাদ বিষয়ক কৃষক প্রশিক্ষণ ১০ ফেব্রুয়ারি বরিশালের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের (আরএআরএস) হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার।
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, সূর্যমুখীর আবাদ সম্প্রসারিত হলে দেশের ভোজ্যতেলের ঘাটতি পূরণে সহায়ক হবে। পাশাপাশি বারি বেগুন-১২ আবাদ করলে কৃষকরা যথেষ্ট লাভবান হবেন। কৃষকদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, প্রশিক্ষণে আপনারা প্রশিক্ষিত হয়ে এই প্রযুক্তিগুলো নিজেদের মাঠে প্রয়োগ করবেন। একই সাথে আপনাদের আশেপাশের কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিবেন। তাহলেই আজকের অনুষ্ঠান স্বার্থক হবে।
দিনব্যাপি এই প্রশিক্ষণে সভাপতিত্ব করেন আরএআরএস’র প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. গোলাম কিবরিয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. রফিকুল ইসলাম এবং পার্টনার প্রকল্পের ডেপুটি প্রোগ্রাম ডিরেক্টর (বারি অংগ) ড. মো. ফারুক হোসেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঊধর্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আনওয়ার মোনিম, ঊধর্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার দাস, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মাহমুদুল হাসান খান, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা স্মৃতি হাসনা প্রমুখ।
প্রশিক্ষণে পার্টনার প্রকল্পের আওতাভুক্ত বরিশাল এবং ঝালকাঠির ৬ উপজেলার ৩০ জন কৃষক অংশগ্রহণ করেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস